সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় ৬ মাস আগে সিরিয়ায় ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ। তাঁকে উৎখাতে নেতৃত্ব দেন দেশটির বর্তমান শাসক আহমেদ আল–শারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ফেডারেল বিচারকদের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এই বিচারকেরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করার নির্বাহী আদেশ স্থগিত করতে দেশব্যাপী আদেশ জারি করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হবে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের কারণে স্থগিত হওয়া সংলাপ ওই বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হবে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রাথমিক ও গোপন মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ওই হামলায় ইরানের ২টি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি এবং হামলার ফলে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধবিরতি [ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে] এখন কার্যকর হয়েছে। দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না।’ নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লিখেন ট্রাম্প।
ইরান ও ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির সুনির্দিষ্ট সময় ও শর্ত নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি রয়েছে।
ইসরায়েল শর্ত সাপেক্ষে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। শর্ত হলো, ইরানকে ইসরায়েলে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের দেওয়া এই শর্তে ইরান সম্মত হয়েছে।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তেহরানকে রাজি করাতে মধ্যস্থতা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাতে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইরান ও ইসরায়েল ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে।
ইরানের যে ৩টি পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার (২১ জুন) গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো হামলা চালিয়েছে, তার একটি ফোরদো। সেখানে ৬টি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান উড়ে গিয়ে মোট ১২টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের পক্ষ থেকে দেশটির ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কথা আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। পরে ইরান জানিয়েছে, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানেও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক হামলার আগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য আরও ২ সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে সরে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক রহস্যজনক বার্তা দিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, পত্রিকাটি তাঁর ভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না।
ইরানে ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নেব।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের পাশে থাকার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইরানের আলোচকেরা হোয়াইট হাউসে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর কথা ভাবছেন।
ইরানে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার নিশানা করা হচ্ছে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র। ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরানও।
ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বা মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে পাঠানোর কথা ভাবছেন।